রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ২৬ জেলায় প্রায় দেড় দিন জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ থাকার পর সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার কারওয়ান বাজারে বিপিসির লিয়াজোঁ কার্যালয়ে সমঝোতা বৈঠক থেকে এ ঘোষণা আসে।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিসির পরিচালক (বিপণন) সৈয়দ মেহদী হাসান বলেন, খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাদের যেসব দাবি, তার মধ্যে বিপিসি সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে দুই-তিনটি। বাকিগুলোর বিষয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
তবে জ্বালানি তেল বিক্রিতে পাম্প মালিকদের কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ কমিশন দেওয়ার যে দাবি ছিল, সে বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
১৫ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ প্রথা বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট স্থাপন, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল এবং পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন জমির ইজারা বাতিল।
বৈঠকে ধর্মঘটে ডাক দেওয়া বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম, মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন, পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ মোমিন দুলাল, পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগের সহ-সভাপতি এম মাহবুবুল আলম, সিনিয়ন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সোবহান আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরদা হোসেনসহ রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ধর্মঘট স্থগিতের ফলে স্বস্তি ফিরেছে চালকদের মধ্যে। ভোগান্তি দূর হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ট্যাংকলরি ধর্মঘট শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এসএস/এমআরএম/আরবি/