সোমবার (২ ডিসেম্বর) মুগদায় অবস্থিত মুমেক ক্যাম্পাসের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।
এসময় তারা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ, একাডেমিক ভবন নির্মাণ, স্থায়ী ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণ, স্থায়ী খেলার মাঠ নির্মাণ, নিজস্ব স্থায়ী অডিটোরিয়াম নির্মাণ, নিজস্ব মর্গ স্থাপন, কলেজের নাম পরিবর্তন ও স্থায়ী ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মাণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত চার বছরে কলেজে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংখ্যা বাড়লেও কলেজের অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ কলেজে নেই কোনো স্থায়ী ক্যাম্পাস, নেই কোনো একাডেমিক ভবন। গত চার বছর ধরে ছাত্ররা বাসে করে আসছে বাইরের ভাড়া বাসায়। যেখানে তাদের কাটাতে হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মানবেতর জীবন। হাসপাতাল ভবনের ত্রয়োদশ তলায় খুবই গিঞ্জি জায়গায় বাস করছেন ছাত্রীরা। যেখানে নেই কোনো পড়াশোনার পরিবেশ।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সৈয়দ শরিফুল আলম মাহিন ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আহমেদ নুছায়েরনসহ মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কলেজের প্রথম ব্যাচের নয়ন কুমার দাস, ফাইরোজ হুমায়রা উর্বী, জান্নাতুল নাওয়ার মিম, দ্বিতীয় ব্যাচের জাহিদুল ইসলাম জামিন, ইসমাইল মোহাম্মদ নিষাদ, মো. সজীব, তৃতীয় ব্যাচের শরীফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান শাফিন, সুদীপ কুণ্ডু জয়, খন্দকার ফাইয়াজ, অরিন্দম তরফদার, অর্ণব ঘোষ, রায় সুদীপ্ত শোভন, তমাল সরকার, চতুর্থ ব্যাচের রাফি বিন ওয়ারেস, আবিদ আহসান তাহমিদ, অনিক সাহা, নাফিউল আজম তোহা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে চতুর্থ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি হাসপাতাল ভবনের চতুর্থ তলা, ত্রয়োদশ তলা, জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলার কয়েকটি রুমে হাসপাতালের কাছ থেকে ধার করে শুরু হয় মুগদা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ব্যাচের পাঠদান কর্মসূচি। বর্তমানে মুমেকে রয়েছে চারটি ব্যাচ। প্রথম তিনটি ব্যাচে রয়েছে ৫০ জন করে ১৫০ জন এবং চতুর্থ ব্যাচে ৬৫ জনসহ মোট ২১৫ জন শিক্ষার্থী। আসছে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছেন আরও ৬৫ জন নতুন শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এমএএম/আরবি/