সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে মো. শাহিন (৩৫) নামের ওই যাত্রীকে আটক করে তার পাকস্থলী থেকে বের করা হয় ২ হাজার ৯০৫ পিস ইয়াবা। অাটক ব্যক্তি বরগুনা সদর থানার পাঠাকাচা হেলিবানিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিমানবন্দর অার্মড পুলিশ জানায়, রোববার (১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহিন বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহির্গামী রাস্তার কাছে গাড়ি পার্কিং এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এসময় নিরাপত্তা ডিউটিকালে সন্দেহ হওয়ায় তাকে চ্যালেঞ্জ করে আর্মড পুলিশ। পরবর্তীতে শাহিনকে হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নিজের পেটে ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করেন শাহিন।
পরবর্তীতে তার পাকস্থলী থেকে ২ হাজার ৯০৫ পিস ইয়াবা বের করে আনতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে।
জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন আরও জানান, ধারের ৪০ হাজার টাকা মাফ করে দেওয়ার শর্তে টঙ্গির চেরাগ আলী এলাকার হাবিব (বাড়ী করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ) তাকে এই ইয়াবা আনার জন্য কক্সবাজার পাঠান। সেই সূত্রেই কক্সবাজারের বালুখালী এলাকার সেলিম নামে এক ব্যক্তি তার কাছে ইয়াবা হস্তান্তর করেন। পরে নভোএয়ারের প্লেনযোগে সেসব ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পৌঁছান শাহিন।
আটক এ ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
টিএম/এইচজে