বিএসটিআই এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসব পণ্য বাজার থেকে অপসারণ না করা হলে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংস্থার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএসটিআই থেকে সার্টিফিকেশন মার্কস লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো শিশুদের প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে চিপসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্যাকেটে আকর্ষণীয় প্রমোশনাল আইটেম (খেলনা, স্টিকার ইত্যাদি) ব্যবহার করে বাজারজাত করছে।
এসব খেলনার ঝুঁকির বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে একদিকে যেমন খাদ্য দূষণের সুযোগ থাকে, অন্যদিকে পণ্যমানের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া শিশু যদি অসচেতনভাবে খেলনা মুখে দেয় বা খেয়ে ফেলে তাহলে তা তার মৃত্যুঝুঁকিরও কারণ হতে পারে।
‘এমতাবস্থায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বাজারজাতকৃত চিপসসহ শিশুখাদ্য পণ্যের প্যাকেটে প্রমোশনাল আইটেম (খেলনা, স্টিকার ইত্যাদি) ব্যবহার বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ’
জনস্বার্থে জারিকৃত বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করে বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান চিপসসহ শিশুখাদ্য পণ্যের প্যাকেটে এ ধরনের সামগ্রী দিচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে নিজ দায়িত্বে ঐসব পণ্য বাজার থেকে দ্রুত প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিশুদের চিপসের প্যাকেটে খেলনা থাকায় অনেক সময় শিশুরা খাবার মনে করে মুখে দিয়ে গলায় আটকে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতও শিশু পণ্যের প্যাকেটে খেলনা সরানোর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
বিএসটিআই’র এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি মাথায় নিয়ে শিশুদের জন্য নিরাপত্তা এবং নিরাপদ খাবার নিশ্চয়তার জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ, খাবার প্যাকেট করার সময় হয়তো ওই খেলনাগুলো আলাদা করে ঢোকানো হয়। এতে খাবারের মানেরও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে মৌখিক নির্দেশনার পর লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হলো। তবে প্রয়োজনে তারা আলাদা প্যাকেটে খেলনাগুলো সংযুক্ত করতে পারে। কিন্তু খাদ্যপণ্যের ভেতরে দেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস