সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
প্রথম দিনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেলিভিশন, ফিল্ম এবং ফটোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া, আইওএম’র ডেপুটি চিফ অব মিশন এমরাহ গুলার, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু, ব্র্যাকের হেড অব মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম শরিফুল হাসান এবং লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদাত হোসাইন।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান বলেন, অভিবাসন শব্দটি পীড়াদায়ক। শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এটি একটি বড় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কলহ সন্ত্রাসের কারণে যার মাত্রা মুসলিম দেশগুলোতে ব্যাপক। আমরা যখন মিয়ানমার সরকারের জাতিগত বিদ্বেষের ভয়াবহতা দেখি তখন অভিবাসনের বাস্তব চিত্র আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তাই এই সমস্যা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তোমাদের আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশী কেউ না কেউ বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে যেতে চাইছে কর্মের সন্ধানে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে তোমাদের দায়িত্ব হবে তাদেরকে অভিবাসনের বিষয়ে সচেতন করে তোলা।
চলচ্চিত্র অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ ও সংস্কৃতির দর্পণ হিসাবে কাজ করে। তাই চলচ্চিত্রকর্মী হিসাবে আমাদের দায়িত্ব সমাজের বাস্তবচিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা। এক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অভিবাসন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস