মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সিরাক বাংলাদেশ ও রাইট হেয়ার রাইট নাও বাংলাদেশ আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আজ আমাদের দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এরচেয়ে তিন গুণ বেশি গতিতে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সময়, চিন্তা-চেতনা দেশের জনগণকে নিয়ে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে ১৯৯৮ সালে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে তোলেন, যা বিশ্বের মাঝে প্রথম ধারণা। ইউনিয়ন পর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র চালু করেছেন। প্রান্তিক পর্যায়ে সব সেবা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনে আমাদে প্রতিশ্রুতি ছিল জনগণের দোরগোড়ায় ভালোমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া। সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে, হাসপাতালগুলোতে ভালোমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সিরাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত বলেন, যুববান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তরুণ সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের উদ্যমী করে তুলতে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মাঝে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তরুণদের মাঝে থেকে ভিডিওচিত্র এবং তরুণদের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ আহ্বান করা হয়। সারাদেশ থেকে নির্বাচিত এসব ভিডিও ও তরুণদের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের মধ্য থেকে তিনজন তরুণ সাংবাদিক এবং তিনজন তরুণ চিত্রগ্রাহককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন মো. শরফুল আলম (এটিএন বাংলা), সাজিদা ইসলাম পারুল (দৈনিক সমকাল), জহির রায়হান (দৈনিক ঢাকা টাইমস) এবং বিজয়ী তরুণ চিত্রগ্রাহক হলেন মো. বিপ্লব হোসেন (ঢাকা), মো. তাহমিদ হোসেন (রাজশাহী), মো. জাওয়াদ হোসেন (চট্টগ্রাম)। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিরাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, প্রোগ্রাম অফিসার তাসনিয়া আহমেদ, অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা ও প্রোগ্রাম অফিসার রোকনুল রাব্বি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইএআর/এসএ