গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর-২ এর ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসার চতুর্থ তলা থেকে বৃদ্ধা রহিমা বেগম (৭০) ও গৃহকর্মী সুমির (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নিহত বৃদ্ধা রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদা বেগম বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সবশেষ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন আসামিদের স্বীকারোক্তির কথা জানান।
আব্দুল বাতেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি জানান, বাবুল নামে এক ব্যক্তি গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাদের মিরপুরের ওই দুই নারীর (রহিমা ও সুমি) কাছে পাঠায়। অনৈতিক কাজের জন্য রহিমার দাবি ছিল ছয় হাজার টাকা। কিন্তু ওই সময় আসামিদের কাছে ছিল তিন হাজার টাকা। গ্রেফতার হওয়া দুই আসামির একজন (ইউসুফ) সারা রাত সুমির সঙ্গে এক রুমে ছিলেন। অন্যজন (রমজান) ছিলেন বারান্দায়।
পরে, চাহিদা মতো টাকা না দিতে পারলে তাদের ওই বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হবে না এবং সকালে বিষয়টি বাবুলকে জানানো হবে বলে তাদের মৃত্যু ভয়ও দেখায় রহিমা।
মৃত্যুভয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সোমবার দিনগত রাতে প্রথমে সুমিকে গলাটিপে হত্যা করে আসামি ইউসুফ। পরে বারান্দা থেকে রমজানকে ডেকে এনে রহিমাকে ডাকলেও প্রথমে তিনি দরজা খোলেননি। কিছুক্ষণ পর ফোন করে বলার পর দরজা খুলে পাশের রুমে আসলে দুইজন মিলে গলাটিপে রহিমাকেও হত্যা করে।
এভাবেই দুই নারীকে খুন করে সেখান থেকে একটি মোবাইল, নগদ ১৪ হাজার টাকা এবং ইমিটেশনের তিনটি চেইন ও একটি দুল নিয়ে পালিয়ে যায় ইউসুফ ও রমজান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন জানান, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া বাবুল নামের ওই ব্যক্তির খোঁজও করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
পিএস/এসএ