বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকালে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিশৃঙ্খলা এবং হট্টগোলের বিষয়ে এক জরুরি ব্রিফিং করেন আনিসুল হক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিনের মামলার শুনানির সময় বিএনপির আইনজীবীদের এবং বিএনপি সমর্থক কিছু বহিরাগত আদালত কক্ষে অবমাননাকর ব্যবহার ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টায করে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
‘অতীতেও আমরা দেখেছি যে, বিএনপিপন্থি আইনজীবী এবং বিএনপি সমর্থক বহিরাগতরা তাদের বিরুদ্ধে আদালত কোনো আদেশ বা রায় দিলে তারা উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। বিএনপির এহেন কর্মকাণ্ডে পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয়, আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। ’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বিএনপির কোনো আনুগত্য নেই এবং বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের কাছে নিরাপদ নয়। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানকে অপমান বা অবমাননা করতে সরকার দেবে না।
‘কারণ দেশের জনগণকে নিরাপদে থাকতে দেওয়ার জন্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা এবং বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব। যারাই এ ধরনের আচরণ করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে সরকার। ’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনানুগ ব্যবস্থা বলতে মামলাও বোঝায়। তারা যে কাজ করেছে তা শুধু আদালতের জন্য বিশৃঙ্খলা-ই নয় বরং আইনের বিরুদ্ধেও বটে। এজন্য প্রয়োজনে মামলাও হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯/আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা
এসএইচএস/এমএ