বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকশী জানান, আগামী মে মাসে মাহে রমজান শুরু। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
আগামী রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সব স্টেক হোল্ডার নিয়ে বৈঠকে বসছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদও উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারে একমাসে ১৮টি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, খোলা আটা, খোলা ভোজ্যতেল, সরু দানার মসুর ডাল, আলু ও চিনির মতো পণ্য। পেঁয়াজ অবশ্য মূল্যবৃদ্ধিতে সবার ওপরে রয়েছে।
টিসিবির তালিকায় দেখা যায়, একমাসে চাল ৩ থেকে ৯ শতাংশ, খোলা আটা ও ময়দা ৭, খোলা ভোজ্যতেল ২ থেকে ১০, সরু দানার মসুর ডাল ২ থেকে ৭, মুগডাল ৫, আলু ২৩, পেঁয়াজ ৫৪, শুকনা মরিচ ১৬, দেশি রসুন ৬, হলুদ ১৪, জিরা ৭, দারুচিনি ২, এলাচ ২০, ধনে ৬, তেজপাতা ৪, ইলিশ ৭ ও চিনির ২ শতাংশ মূল্য বেড়েছে। তবে দাম কমেছে ৭টি পণ্যের। এর মধ্যে রয়েছে প্যাকেটজাত আটা ১ শতাংশ, তুরস্কের মসুর ডাল ৪ শতাংশ, অ্যাংকর ডাল ৬ শতাংশ, আমদানি করা রসুন ৩ শতাংশ, লবঙ্গ ৯ শতাংশ, দেশি ও ব্রয়লার মুরগি ৫ থেকে ৬ শতাংশ এবং ডিম ৪ শতাংশ।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতাই বেশি। বিশেষ করে চাল, খোলা আটা, খোলা তেল, আলু ও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ভোগাচ্ছে সীমিত আয়ের মানুষকে। কারণ, নিম্ন আয়ের মানুষ খোলা তেল ও খোলা আটা বেশি কেনে। আর পেঁয়াজ ও রসুন ছাড়া রান্না কঠিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
জিসিজি/এএ