বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের শহরের লাইব্রেরি বাজারের চাঁদাখার বাশতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুদক। পরে আদালতে সোপর্দ করা হয় তাদের।
আবুল হোসেন ও তার ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিব পাবনার নারী সাংবাদিক সুর্বণা আক্তার নদী হত্যা মামলার প্রধান ও দ্বিতীয় আসামি।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, দুদক মামলার আসামি শিল্পপতি আবুল হোসেন পাবনায় ঘড়ি, রেডিও, টিভি মেরামতরে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
দুদক পাবনার উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ইড্রাল ওষুধ কোম্পানি ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবুল হোসেন ১৯৭৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত নিজ নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলে ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার ৬১ টাকা অর্জন করে। এর মধ্যে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ৮ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৯ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রী তাসলিমা হোসেন নামে অর্জিত ২ কোটি ৪৯ লাখ ১ হাজার ২১৫ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায়। এ ছাড়া অনুসন্ধানে জানতে পারে আবুল হোসেনের ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিবের নামে ২ কোটি ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৫শ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩শ টাকা। তিনজনের সম্পদের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৬। এর মধ্যে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুদক পাবনার সাবেক উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় তিনজনের নামে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় দুদক আবুল হোসেন ও তার ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজিবকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে দুদুক পাবনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এসএইচ