রোববার (৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মজিবুর রহমান।
মো. মজিবুর রহমান বলেন, সরকার দীর্ঘ ১১ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাই-বাছাই করতে পারেনি। যে সব মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আপিল করা হয়েছে, তাদের ভাতা মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সমস্যা কয়েকটি স্মারকলিপির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পেশ করেছি। তারাও মেনে নিয়েছে। কিন্তু কোনোটাই বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বার বার মুক্তিযোদ্ধারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা সাত দফা দাবি পেশ করেছি। বিষয়গুলো সমাধান না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
সাত দফা দাবিগুলো হলো: গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বন্ধ ভাতা ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। যে সব মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদ, প্রধানমন্ত্রীর সনদ রয়েছে, তাদের কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই জাতীয় তালিকা প্রকাশ করে ডিজিটাল সনদ এবং আইডি কার্ড দিতে হবে। জীবিত ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিজয় দিবসের আগেই পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিনা সুদে ২০ লাখ টাকা ব্যাংকঋণ দিতে হবে। পাশাপাশি মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা করতে হবে। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। তাদের জন্য স্বতন্ত্র হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সব দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
পিএস/এফএম