এছাড়া জালিয়াতি করে একাধিকবার টেন্ডারে অংশ নেওয়ায় তার লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে লাইসেন্সের অনুকূলে সবধরনের কার্যক্রম দুই বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রামগতি পৌরসভা পরিষদের মাসিক সভার কার্যবিবরণীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
পৌর কর্তৃপক্ষ ও মাসিক সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, মেসার্স বাপ্পী টেডার্সের মালিক আবদুল ওয়ারেছ রামগতি পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নয়। তিনি ২০১৬-১৭ (ক্রমিক নম্বর-০৮১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬) অর্থবছরের ট্রেড লাইসেন্স করেন। এরপর নবায়ন না করে আগের ওই ট্রেড লাইসেন্স ঘষামাজা করে (২০১৮-১৯ অর্থবছর, ক্রমিক নম্বর-০৮১, ১৫ জুলাই ২০১৯) টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেন। কাগজপত্রে এমন জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় টেন্ডার ইভোল্যুশন কমিটি ই-টেন্ডার নোটিশ নম্বর-০১/২০১৮-১৯ বাতিল করে পুনরায় আহ্বান করা হয়। এ জালিয়াতি ধরা পড়ায় পৌরসভার সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতিতে মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্সের ট্রেড লাইসেন্স ও ঠিকাদারি লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে লাইসেন্সের অনুকূলে সবধরনের কার্যক্রম দুই বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
লাইসেন্সটি বাতিল করার বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে আবদুল ওয়ারেছকে জানানো হয়। কিন্তু আবারও একই ক্রমিক নম্বরের প্যাডে লাইসেন্স জালিয়াতি করে তিনি পরবর্তী টেন্ডারে অংশ নিয়ে পৌরসভার কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করে আসছেন।
জানতে চাইলে ঠিকাদার আবদুল ওয়ারেছ বলেন, আমি লাইসেন্স নবায়নের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু তারা অস্বীকার করছে। পরবর্তীতে পে-অর্ডার করে নবায়নের টাকা ডাকযোগে পাঠাই। কিন্তু সেটিও গ্রহণ করেনি। নবায়ন ছাড়া টেন্ডারে অংশগ্রহণের বিষয়ে সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি।
রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্সের লাইসেন্স নবায়নের জন্য পৌরসভা কার্যালয়ে কোনো চিঠি দাখিল করেননি। তবে সতর্ক করা হলেও একাধিকবার জালিয়াতি করে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করায় প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ওই লাইসেন্সের অধীনে সব কার্যক্রম দুই বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে আবদুল ওয়ারেছ অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এসআর/আরবি/