শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান দগ্ধ গৃহবধূর স্বজনেরা।
দগ্ধ গৃহবধূ সাফিয়া আক্তারের বড় ভাই মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, ১৮ বছর আগে নাউজান গ্রামের বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়।
তিনি জানান, বিয়ের পরপরই পৌনে তিন লাখ টাকা দিয়ে খরচ করে বাচ্চু মিয়াকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। সেখানে চাকরি-বাকরি করে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। পরে দু’বছর আগে তিনি নিজেই আবার কাতার চলে যান।
শাহাদাত জানান, তার বোনের ননদ ফাতেমার স্বামীও দেশের বাইরে থাকেন। ননদ ভাবি একসঙ্গে থাকেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এর জের ধরে শনিবার সকালে ফাতেমা সাফিয়ার গায়ে গরম পানি ঢেলে দেন। এতে সাফিয়ার শরীর পুড়ে গেলে তাকে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়।
দগ্ধ সাফিয়া জানান, স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই টুকিটাকি বিষয় নিয়ে সংসারে ননদের সঙ্গে তার মাঝে মধ্যে ঝগড়া হতো। ২৩ নভেম্বর তার মেয়ে তন্নী রান্নাঘরে গিয়ে ডাল রান্না করছিল। তখন ফাতেমার ছয় বছরের ছেলে নাদিম রান্নাঘরে গেলে গরম ডালে তার হাত সামান্য পুড়ে যায়। সেই থেকে ননদ ফাতেমা তার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে যান।
প্রতিশোধ নিতেই ফাতেমা তার গায়ে গরম পানি ঢেলে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. আরিফুল ইসলাম জানান, ওই মহিলার বয়স ৪০। গরম পানিতে তার শরীর ঝলসে গেছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন আইচ জানান, ননদের ঢেলে দেওয়া গরম পানিতে ভাবির দগ্ধ হওয়ার সংবাদ আমরা পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
অভিযোগ নিয়ে আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এজেডএস/এবি