রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ববি সংলগ্ন বরিশাল-ভোলা সড়কের পাশে এ হামলার ঘটে এ ঘটনা।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত, ক্যামিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী রফিক হাওলাদার, লোকপ্রশাসন বিভাগের রুদ্র দেবনাথ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রদীপ কান্তি।
আহত সিফাত বাংলানিউজকে বলেন, রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা পেছন থেকে ধারালো কিছু দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। তাই তাৎক্ষণিক তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে আহত রফিকের সহপাঠীরা জানায়, ক্যাম্পাসে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে রফিক, রুদ্র ও প্রদীপের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে ক্যাম্পাসের একটি সূত্র বলছে, সিফাতের ওপর হামলার ঘটনার পর তার অনুসারীরা ক্যাম্পাসে লাঠি নিয়ে নেমে পরে। এসময় তাদের হামলায় রফিক হাওলাদার আহত হয়। যদিও সিফাতের ওপর হামলার আগেই রফিকদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে অপর একটি পক্ষ।
ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার হালদার।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ক্যাম্পাসে যাই। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি। তবে ছাত্রলীগের পক্ষে প্রায়ই মিছিল-সমাবেশ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এমএস/আরকেআর/এসএ