সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মানুষ। দিনে কামিয়ে রাতে খাওয়া মানুয়েরা যেন শীতের কাছে কাবু।
সরেজমিনে রোববার (০৮ ডিসেম্বর) রাতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে এবং বিভিন্ন দোকানের সামনে সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাচ্ছে।
জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ২৮ হাজার শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মধ্যবিত্ত পরিবার জানিয়েছে, প্রতিবার শীত এলে একই মানুষদের সবাই শীতবস্ত্র দেয়। তাদের হিসাবই সবাই করে। কিন্তু মধ্যবিত্তদের কষ্টও কম নয়। মধ্যবিত্তদের কষ্ট কেউ বোঝেনা। তারা কারো কাছে চাইতেও পারে না, আবার নিজেও কিনতে পারে না।
বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের শীতের অনুভূতি অনেক বেশি। তাই শীত নিবারণের জন্য কিছু শীতবস্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেশের বিত্তবানদের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন।
এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রোববার দিনগত রাত ১১টার দিকে ১১-১২ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছিল তাপমাত্রা। এর আগে একই দিন সকালে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার দাপটের কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত শীত একটু বেশি অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসএ/