এ দুর্ঘটনায় কারখানার ভেতর থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৩৪ জন।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন এসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ কারখানার অনুমোদন ছিল না। যারা স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, তাদের উচিত ছিল ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে এক হয়ে আগে থেকেই এগুলো চিহ্নিত করা। সামনে অবশ্যই তারা এ কাজ করবে।
জানা যায়, ওই কারখানাতে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। যে ইউনিটে আগুন লাগে সে ইউনিটে ৫০-৬০ জন শ্রমিক কাজ করতো। আগুন লাগার শুরুতেই কারখানার ম্যানেজার নজরুল ইসলাম আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। এরপর শ্রমিক আলমগীর, রাজ্জাক, সাজিতসহ বেশ কয়েকজন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন।
>>>আরও পড়ুন...কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুনে নিহত ১, দগ্ধ ৩২
ঢাকা জোন-৬ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে আগুন লাগার খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ, পোস্তগোলা, সদরঘাট ও হেডকোয়ার্টারের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ধরনের কারখানায় বেশ কয়েকটি দরজা থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া ‘ইমার্জেন্সি এক্সিট’ দরজা থাকার কথা কিন্তু এ কারখানায় একটি মাত্র দরজা রয়েছে। যেটি দিয়ে ‘এন্ট্রি ও এক্সিট’ দুটোই হতো। কারখানার শ্রমিকদের জন্য কোনো দিক নির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড ছিল না। কর্তৃপক্ষের এ ধরনের গাফিলতির কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল ৫টা ৫০ এর দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন>>>কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুনে নিহত ১, দগ্ধ ৩২
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এনটি