ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ কমিটি গঠন করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অ্যাম্বুলেন্স শাখার উপ-পরিচালক আবুল হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

 

অন্যদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক এবং কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (সেফটি) মো. কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার।

সচিব কেএম আলী আজম বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, শুধু ঘটনার কারণ নির্ধারণ করলেই হবে না, পাশাপাশি তদন্তে যদি কারও গাফেলতির প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে।  

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎই গ্যাস রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।  

ইঞ্জিনিয়ার এসে শ্রমিকদের আগুন লাগার খবর দেয়। এরপর শ্রমিকরা পানি ও কারখানায় থাকা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তখনই তারা দগ্ধ হয়। অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জাকির হোসেন (২২) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রায় ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে আহতদের মধ্য থেকে রাত থেকে দুপুরে পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর, ইমরান, বাবুল, রায়হান, খালেক, সালাউদ্দিন, সুজন, জিনারুল ইসলাম, আলম, জাকির হোসেন, ফয়সাল, মেহেদী ও আব্দুর রাজ্জাক।

‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানার গত দুই বছরে তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার দুটোই ঘটেছে চলতি বছরে। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ড ছিল ভয়াবহ।  

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর কারখানাটিতে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লাগে। তবে ওই দু’টি অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।  

সর্বশেষ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তৃতীয়বারের মতো আগুন লাগে কারখানাটিতে।

আরও পড়ুন>

** কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: নিহত বেড়ে ১৩
** কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: নিহত বেড়ে ১১​
** কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯

** কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু 
** একই কারখানায় ২ বছরে তিন বার আগুন
** আগুনের সূত্রপাত ‘গ্যাস রুমে’, নেভাতে গিয়েই দগ্ধ শ্রমিকরা
***কেরানীগঞ্জে আগুন: কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ক্ষতি বেশি
***কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুনে নিহত ১, দগ্ধ ৩২
***কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: অনুমোদন ছিল না ওই কারখানার


বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।