ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট করা যাবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
থার্টিফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট করা যাবে না

ঢাকা: বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তার জন্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের প্রায় তিন হাজার ৫০০টি চার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে ইংরেজি নববর্ষ ৩১ ডিসেম্বর উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট, নাচ ও গানের আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট দু’টি দিবস খুব কাছাকাছি।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন যথাযথভাবে পালন করতে পারে এবং থার্টিফার্স্ট নাইট যাতে উশৃঙ্খলভাবে উদযাপন করতে না পারে সেজন্য আমরা আজকের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভাটি করেছি।

‘এদিন রাস্তা বা ফ্লাইওভারে কনসার্ট, নাচ ও গানের আয়োজন করা যাবে না। বিশেষ করে সন্ধ্যা ৬টার পর প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট, নাচ ও গানের আয়োজন করা যাবে না। থার্টিফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যস্ত সারাদেশের সব বার বন্ধ থাকবে। এসময়ের মধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চলবে। ’

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যাতে যথাযথভাবে বড়দিন উদযাপন করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট চার্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকাসহ সারাদেশের চার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে।

‘এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের বিশেষ কন্ট্রোলরুম রাখা হবে। চার্চগুলোতে রাখা ফোকাল পয়েন্ট সার্বক্ষণিক সমন্বয় করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করবেন। বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য ফায়ার ফাইটিংয়ের কুইক রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে তেজগাঁ, কাকরাইল মিরপুর, বনানীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চার্চে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মেটাল ডিটেক্টর, সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি এসব চার্চের সামনে থাকবে। ’

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ভুভুজেলা, আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না। এ উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বরের পর ঢাকাসহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। এদিন রাত ৮টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ থাকবে। ঢাবি এলাকায় এসময় স্টিকার ব্যতিত কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।

দিবসটি উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা অবনতির কোনো রকম আশঙ্কা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো রকম আশঙ্কা নেই। আমি আগেই বলেছি, প্রতিটি বিশেষ দিন, বড়দিন, কিংবা জাতীয় দিবসে অথবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে আমরা এ ধরনের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আয়োজন করি যাতে দিবসগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সবাই পালন করতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।