ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাকরি পুনঃবহাল ও স্থায়ী করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
চাকরি পুনঃবহাল ও স্থায়ী করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন চাকরি পুনঃবহাল ও স্থায়ী করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ বেতার বরিশাল কেন্দ্রের সাত কর্মচারী।

বরিশাল: বাংলাদেশ বেতার বরিশাল কেন্দ্রের অনিয়মিত সাতজন কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় বরিশালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চাকুরি পুনঃবহাল ও স্থায়ী করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বেতার বরিশাল কেন্দ্রের চুক্তিভিত্তিক প্রযোজনা সহকারী মো. মনিরুল ইসলাম।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারে সারা দেশে ৮৮ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল বেতারে রয়েছে সাত জন কর্মচারী। আমরা সাতজন দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ বিভিন্ন পদে কর্মরত থেকে কাজ করেছি। এর মধ্যে প্রযোজনা সহকারী পদে তিনজন, অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর দুইজন, ডিউটি অফিসার পদে একজন এবং তবলা বাদক একজন।

‘আমাদের চাকুরি স্থায়ী করা হয়নি। বেতার থেকে যে চাকরির নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেখানে আবেদন করেছি। কিন্তু আমাদের বাদ দিয়ে তারা বাইরের লোক নিয়োগ দিয়েছে। চাকরি স্থায়ী করার জন্য ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পিটিশনারদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না, যা তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও বাংলাদেশ বেতারকে জানানো হয়েছে। তবে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ বরিশাল বেতারের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়ে দেন আমাদের (সাতজনের) চাকরি নেই। আমাদের আর অফিসে আসতে হবে না। ’

তারা অভিযোগ করে বলেন, বেতার কর্তৃপক্ষ আমাদের অনিয়মিত শিল্পীদের বাদ দিয়ে নিজস্ব শিল্পীদের চাকরিতে নিয়োগ দেন। এতে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমরা ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতাম। দু’টি ঈদে আমাদের কোনো প্রকার উৎসবভাতাও দেওয়া হত না। চাকরির বেতন থেকে সরকার ১০ ভাগ কেটে নিয়ে যেতো। বাকি টাকা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তারপরও পেটের দায়ে স্বল্প টাকায় চাকরি করতাম। এখন আর আমাদের চাকরির বয়স নেই যে অন্য কোথাও কাজের সন্ধান করবো।

লিখিত বক্তব্যে মনিরুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য আমাদের সঙ্গে বেতার কর্তৃপক্ষের প্রতিমাসে চুক্তি হতো। সরকারি কর্মচারীদের মতো আমাদের কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হত।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলেন, আমরা যাতে দু’মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বেঁচে থাকতে পারি সেজন্য চাকুরী পুনঃবহাল ও স্থায়ী করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেতার বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক আনসার উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতার এর সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে সাময়িকভাবে বিরতিতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।  

তাদের নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, নিয়োগ বরিশাল থেকে হয় না। এটা সরাসরি সদর দপ্তরের বিষয়, আমি কিছুই জানি না। তারা যে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছে তাও আমি জানি না।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনা সহকারী সাইফুল ইসলাম, তবলা বাদক তরুন বাশার, ডিউটি অফিসার মঈনুল ইসলাম, প্রযোজসা সহকারী মাসুদা বেগম, অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর জাহানারা ইয়াসমিন, অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর সাবিনা ইয়াসমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।