তিনি বলেন, আমার মনে হয় রাখাইন স্টেটে যে নৃশংসতা হয়েছে সারা বিশ্বে তা গভীরভাবে অনুধাবনে প্রচার করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের ভূমিকা অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে যে রায় দেবে তার উপর নির্ভর করবে যে আমরা কী ফল পাব। আজ এ ফল সম্পর্কে বলা হবে প্রি-মেচিউরড। রায় বা আদেশ পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে আলোচনায় যাওয়া উচিত। এর পাশাপাশি আমেরিকা পরিস্কারভাবে বলেছে, মিয়ানমারে জেনোসাইড হয়েছে এবং জেনেসাইডের আমরা অমুক-তমুকদের দায়ী করি। এখানে বিশ্বের অবস্থান পরিস্কার।
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল রিপোর্ট বিবেচনায় খালেদার জামিন নাকচ
এ কোর্টে গাম্বিয়া কেন মামলা করলো, বাংলাদেশ কেন করলো না? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি পরস্পর আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের এখতিয়ার যেটা এ মামলার তাৎপর্য আছে, মিয়ানমারে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে বিচাররকরা দেখবেন এবং দুইপক্ষ শুনবেন। বাংলাদেশ করতে পারতো নাকি পারতো না এ মুহূর্তে এটি একাডেমিক ডিসকাশন, এখন সে আলোচনায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে কী-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা যেহেতু প্রতিবেশী এবং জাতির পিতার অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী চেষ্টা করবো আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
জিসিজি/এসএইচ