ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মৃতদেহ হস্তান্তর করেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুল আওয়াল। তিনি বলেন, নিহতের দাফন কাফনের জন্য তাদের পরিবারকে আপতত বিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মৃতদেহগুলো হস্তান্তর হতে শুরু হয়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়। নিহতরা হলো, কেরানীগঞ্জের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আলম (৩৫), পিরোজপুর সদর উপজেলার মৃত নুরুল হকের ছেলে জাহাঙ্গির হোসেন(৫৫), নরসিংদি সদর উপজেলার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে বাবলু (২৬), নড়াইল সদর উপজেলার ইউসু্ফ বিশ্বাসের ছেলে রায়হান বিশ্বাস (১৬), পটুয়াখালীরর কলাপাড়া উপজেলার আনছার হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার(১৮),বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিম খলিফার ছেলে আব্দুল খালেক (৩৫), মাগুড়া জেলার সালিথা উপজেলার মোতালেব মোল্লার ছেলে জিনারুল মোল্লা(৩২), জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জসিম মিয়ার ছেলে বরিশাল হিজলা উপজেলার খলিল দেওয়ানের ছেলে সুজন দেওয়ান (১৯), মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার হানিফ দেওয়ানের ছেলে ফয়সাল দেওয়ান (২৪) ও টাংগাইল মির্জাপুর উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে সালাউদ্দিন (২৬)।
সিনিয়র কমিশনার আব্দুল আওয়াল জানান, তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্ত না হওয়ায় আগামীকাল হস্তান্তর করা হবে। এর মধ্যে মাহবুব হোসেনের মৃতদেহ স্বজনরা শুধু হাতের বেচলেট দেখে সনাক্ত করেছে। সেটা আগামীকাল ডিএনএ নমুনা নেওয়া হবে। ওমর ফারুক (৩৬) ও মেহেদী হাসানের মরদেহ আগামীকাল ময়নাতদন্তের পর হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে কেরানীগঞ্জের আগুনের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দগ্ধদের চিকিৎসার খরচ হিসেবে প্রত্যেককে ৫০হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
সন্ধ্যা ৬টায় শ্রম মন্ত্রণালয় এর সচিব কে এম আলী আজম ১৮জন দগ্ধ রোগীদের স্বজনদের হাতে এই টাকা তুলে দেন। এসময় রোগীর স্বজনদের সাথে চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। পরবর্তিতে নিহতদের পরিবারকেও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএমএস