শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের অতিথি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জাহাঙ্গীরের পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার চাচাতো ভাই আমজাদ হোসেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গ্রেফতারকৃত নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীরের পিতা মো. সাদেক হোসেন, বোন কহিনুর হক, ভাই জসিম উদ্দিন, আবু বক্কর ছিদ্দিক, চাচা শামছুল হুদা, স্ত্রী তাসলিমা আক্তার, শিশুকন্যা আফ্রিদা নূ্র ও পুত্র নূর অহনা।
তারা অভিযোগ করেন, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুশফিকুর সালেহীনের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে আটক করে নিয়ে যায়।
পরে র্যাব সদস্যরা গাড়িতে করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। তার বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু না পেয়ে ব্যাডমিন্টনের দুইটি ব্যাগভর্তি অস্ত্র রেখে কাছারি ঘরের সামনে জাহাঙ্গীরকে রেখে ছবি তোলে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করলে র্যাব সদস্যরা তাদের মারধোর করে।
অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় র্যাবের দায়ের করা মামলায় নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিহংসা ও ষড়যন্ত্রের কারণেই জাহাঙ্গীরকে অস্ত্র মামলায় জড়ানো হয়েছে। মিথ্যা অস্ত্র মামলা থেকে নিস্তার পেতে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীর ধর্মপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন আ. লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ এলাকার গুডলাক দোকানের ব্যবসায়ীও বলে তারা দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/এজে