রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে থাকা মামুনকে দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গাবতলীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হন কনস্টেবল মামুন।
ঘটনার সময় গাবতলী এলাকায় দায়িত্বরত সার্জেন্ট ঝোটন সিকদার বাংলানিউজকে জানান, ওয়েলকাম পরিবহনের একটি গাড়িকে থামার সংকেত দিলে বাসটির চালক না থামিয়ে মামুনের শরীরের ওপর দিয়েই চালিয়ে দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় মামুনকে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ঘাতক বাস চালক পালিয়ে গেলে বাসটি আটক করা হয়।
সার্জেন্ট ঝোটন সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমার চোখের সামনেই হল। বাসটিকে থামাতে বললে বাসটি মামুনের শরীরের ওপরের দিয়েই চালিয়ে দেয়। যদিও আমরা বাসটিকে আটক করতে সমর্থ হয়েছি তবুও তখন মামুনের চিকিৎসাই ছিল আমাদের কাছে প্রধান বিষয়। তবে চালক ও হেলপার বাস ফেলে পালিয়ে গিয়েছে।
সার্জেন্ট ঝোঁটন জানান, লাশের ময়না তদন্ত শেষে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একইসঙ্গে ঘাতক বাসের মালিক, চালক এবং হেলপারকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এসএইচএস/এবি