ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুজবের কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২০
গুজবের কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: গুজবের কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন অর্থমন্ত্রী। 

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গুজবনির্ভর হয়ে পড়েছে শেয়ার বাজার। গুজবের কারণেই তা ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না

অর্থমন্ত্রী জানান, গুজব ছড়িয়ে যারা বাজারে প্রভাব বিস্তার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।

এ ব্যাপারে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি-কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

‘শক্ত একটা আইন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শক্ত আইন না করলে গুঁজবকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। ’

বৈঠকে পুঁজিবাজারের পরিচালনা পর্ষদের তুলে ধরা বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এক্সেস টু ব্যাংকিং ফাইন্যান্স তাদের অন্যতম দাবি ছিল। যেভাবে কোনো ক্লায়েন্ট ব্যাংকে গিয়ে টাকা বড় করতে পারে, ঠিক সেভাবে পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তারাও যেন তেমন সুযোগ পান। ব্যাংকে ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপের ভিত্তিতে অন্যরা যেভাবে লোন পায়, সুযোগ-সুবিধা পায়, পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্যও সেই সুযোগ-সুবিধা থাকবে। সিকিউরিটি দিতে হবে। আমরা বলেছি, আমাদের জানা মতে, এই মুহূর্তে দেশের কারও জন্যই রেস্ট্রিকশন নেই যে, ব্যাংকে যেতে পারবে না। ’

‘পুঁজিবাজারে আরও ভালো দিক হলো, এখানে যারা ব্যবসা করেন অতীতে তারা লোন নিয়ে সরকারের টাকা শোধ দিয়েছেন। সুতরাং আমি মনে করি যে, তাদের এসব সুবিধা দেওয়া ভালো। কিন্তু, আমি বলেছি, আমরা কারেন্সি ডিভ্যালু করবো না। কারেন্সি ডিভ্যালু করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের রেমিট্যান্স খাতেও বলা হচ্ছিল ডিভ্যালু করার জন্য। রেমিট্যান্স খাতে ডিসেম্বর মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ। এক মাসে একখাতে এতো প্রবৃদ্ধি ইতিহাস। এটা আর কেউ ভাঙতে পারবে না। আমরা এই খাতে ২ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছি। এর মাধ্যমেই আমরা এ সক্ষমতা অর্জন করেছি। সুতরাং কোনো খাতেই কারেন্সি ডিভ্যালু করার সম্ভাবনা নেই। আরেকটা দাবি ছিল- আমরা তাদের যে ট্যাক্স কাটি তার হার কমানো। আমরা বলেছি, যতটুকু সম্ভব আমরা বিবেচনা করবো। ’


বৈঠকে ডিএসই’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, পরিচালক রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভী, মিনাহাজ মান্নান, বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন এবং কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দীন নিজামি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০  
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।