ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রংপুরকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা যায়’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
‘রংপুরকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা যায়’ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘শীতের প্রকোপের কারণে রংপুরকে আঞ্চলিক দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা যায়’।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আগামীতে আরও শৈত্যপ্রবাহ আসছে।

তবে শীতপ্রবণ এ অঞ্চলে শীতার্ত মানুষের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, আমরা আছি। ফলে কোনো সমস্যা হবে না। শীত আসার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলেছিলেন। আমরা তাৎক্ষণিক সভা করে ৩১ লাখ ৯০ হাজার কম্বল গত অক্টোবর মাসেই সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়াও শিশুদের পোশাক ও ৪০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ কারণে আমরা রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১০ লাখ টাকা নগদ অর্থ দিয়েছি স্থানীয় জেলা প্রশাসকদের।

তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শীতার্ত এলাকাগুলো সফর করছি। শীতার্ত মানুষদের জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবো। তীব্র শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে নিহত ছয় জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীনদের জন্য অর্থ সহায়তা দিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল বলেন, ‘এখন রংপুর অঞ্চলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে। সে কারণে শীতার্ত মানুষদের জন্য রুম হিটার দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসকদের কাছে থাকা তহবিল থেকে সাহায্য করা যেতে পারে। মাত্র দুই মাসের জন্য এসব হিটার ব্যবহার করলে শীত নিবারণে অনেক দুর্ভোগ কমবে। ’

রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আসিব আহসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের সব উপজেলার চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) জেলার বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।