ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিরপেক্ষ সুশীল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই: গণপূর্তমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
নিরপেক্ষ সুশীল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই: গণপূর্তমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: শাকিল আহমেদ।

ঢাকা: নিরপেক্ষ সুশীল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাইলে সাম্প্রদায়িকতা যারা সৃষ্টি করে, তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কথা বলতে হবে। এ মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, এখানে নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আমি অবাক হই যখন রাতে টেলিভিশনে টকশোতে দেখি এদেশের রাজনীতিবিদরা ইনিয়ে বিনিয়ে দুর্নীতিবাজদের পক্ষে কথা বলেন। শুধু দুর্নীতিবাজ নয়, সাম্প্রদায়িকতার বীজ রোপণ করেছিল যারা, তাদের পক্ষে যখন কথা বলেন, তখন অবাক হই কোন সমাজে বাস করছি। এ রাষ্ট্র এভাবে চলতে পারে না।

তিনি বলেন, আমি যখন দেখি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির হয়ে একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ জামিনের পক্ষে নামার ঘোষণা দেন, তখন বুঝি এ লোক কিসের সুশাসন চায়। তিনি তো চান দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সামনে আসুক। আমি যখন দেখি তারা জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্যের নেতা সাজেন, তখন বুঝি কিসের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন। লিংক অব চেইন তো জামায়াতের সঙ্গে উনার। একথাগুলো পরিষ্কার করে বলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশে দুর্গাপূজার সময় কোনো মন্দির আক্রান্ত হয় না, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান আক্রান্ত হয় না, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা গির্জায় নিরাপদ থাকে। সবকিছু মিলে আমি একটা কথা বলবো, সম্প্রীতির বাংলাদেশ চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন বিমান থেকে নেমে বাংলার এক মুঠো মাটি হাতে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, বাঙালির এ ভালোবাসা আমি বুকের রক্ত দিয়ে শোধ করে যাবো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি শুধু নিজের না, গোটা পরিবারের রক্ত দিয়ে ভালবাসা শোধ করেছেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলো, অনেক বুদ্ধিজীবী বলেছেন এ বিচারে না যেতে। তাদের শেকড় নাকি অনেক দূর বিস্তৃত দেশের বাইরে। শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার কমিটমেন্ট বঙ্গবন্ধু আইন করেছিলেন, আমি বিচার সম্পন্ন করবো। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন ফোন করে কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করার জন্য বলেছেন। ফোনে ৩৫ মিনিট কথা বলেছিলেন। শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেখবো। একদিনও দেরি করেননি, পরেরদিন ফাঁসি কার্যকর করে দেখিয়েছেন, একাত্তরে তোমরা বিরোধিতা করেছো, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না করছো, তোমাদের সঙ্গে আমাদের আপস হতে পারে না। ধর্ষক এবং তাদের বিচারের রায় বাংলাদেশে কার্যকর হবে। সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে দেননি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র করার সব চেষ্টা তিনি প্রতিহত করেছেন।

সম্প্রীতি বাংলাদেশ আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অসিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান খান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এমএমআই/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।