ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শুরু হচ্ছে বন্ধ থাকা গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
শুরু হচ্ছে বন্ধ থাকা গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ

বরিশাল: বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় রাঙামাটি নদীতে বন্ধ থাকা গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ আবারও শুরু হতে যাচ্ছে।

উচ্চতা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আপত্তি অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় সেতুটি নির্মাণে আর কোনো জটিলতা থাকছে না। যার ধারবাহিকতায় প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকা সেতুর নির্মাণ কাজ অতিদ্রুত শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-দিনারের পুল-লক্ষ্মীপাশা-দুমকি আঞ্চলিক সড়কের রাঙামাটি নদীতে ২৮৩ দশমিক ১৮৮ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যে সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

নির্মাণাধীন এই গোমা সেতুর উচ্চতা নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা থেকে সাত দশমিক ৬২ মিটার। নদীতে নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচল করার লক্ষ্যে সেতু নির্মাণ শুরুর আগে বিআইডব্লিউটিএর দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী এই উচ্চতা রাখা হয়।  

এরপর সেতুর কাজ শুরু করে যখন সবগুলো পিলার স্থাপন করা হয়ে যায় তখন বিআইডব্লিউটিএ নতুন করে জানায়, সেতুর উচ্চতা ১২ দশমিক দুই মিটার করার কথা। এমন সিদ্ধান্তে প্রায় ছয় মাস ধরে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং বিআইডব্লিউটিএর আপত্তি অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। তবে আন্তঃমন্ত্রাণালয়ের ওই সভায় নতুন করে কোনো সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসদু খান বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশে বিভিন্ন নদীতে যে উচ্চতায় সেতু নির্মিত হচ্ছে, রাঙামাটি নদীর উপর গোমা সেতুও একই উচ্চতায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর পরই সেতুর কাজ আবারও শুরু করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, সেতু নির্মাণে ডিজাইন করার আগে কতোটুকু উচ্চতা থাকলে এর নিচ দিয়ে নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচল করতে পারবে সে বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর মতামত নেওয়া হয়। একইভাবে মতামত নিয়ে গোমা সেতুর নির্মাণ শুরু হলেও বিআইডব্লিউটিএ নতুন করে আপত্তি তুলে। তাদের এই দাবি মানতে হলে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হতো। যাতে কোটি কোটি টাকা আর্থিক লোকসান হতো।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।