ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লঞ্চ যাবে ঠেগামুখ স্থলবন্দরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
লঞ্চ যাবে ঠেগামুখ স্থলবন্দরে

রাঙামাটি: বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ায় রাঙামাটি শহর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ বরকল উপজেলার ঠেগামুখ স্থলবন্দরে  যাবে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় ঠেগামুখ স্থলবন্দরের উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়া হবে বলে নৌযাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোনের সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন আদেশ থেকে জানা যায়, আগে রাঙামাটি থেকে বরকলের ছোট হরিণা পর্যন্ত নৌযান চলাচল করতো।

বর্তমানে যাত্রীদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবং নৌযান পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এবার রাঙামাটি থেকে হরিণা হয়ে ঠেগামুখ ভারত সীমান্ত পর্যন্ত নৌযান চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশের লেকসিটি হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি জেলার ইতিহাস। ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে হ্রদ ও নৌযান ভ্রমণে সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকদের অবাধ ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর তদারকি প্রয়োজন রয়েছে। নৌযান চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলে সাধারণ যাত্রীসহ ভ্রমণ পিপাসুদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, রাঙামাটি থেকে ছোট বরকলের ছোট হরিণা হয়ে লঞ্চ যদি ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা ঠেগামুখ স্থলবন্দর পর্যন্ত যায় তাহলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগের ব্যবস্থার যেমন উন্নতি হবে তেমনি বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে দু’দেশের মানুষ।

নৌযাত্রী পরিবহন সংস্থা রাঙামাটি জোনের সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের দাবির মুখে আমরা রোববার থেকে শহরের ব্যস্ততম নগরী রির্জাভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ঠেগামুখের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে একটি লঞ্চ ছেড়ে যাবে। ঠিক একইদিন সকাল ৬টায় ঠেগামুখ থেকে রাঙামাটির উদ্দেশে একটি লঞ্চ ছেড়ে আসবে। ঠেগামুখে যাত্রীবাহী লঞ্চ সার্ভিসে নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।