বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে রাজউক নিয়ে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান।
রাজউকের তীব্র সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘রাজউকের গোড়ায় গলদ।
‘রাজউকের বোর্ডে যারা নিয়োগ পান, তাদেরকে কী ধরনের মাপকাঠিতে নিয়োগ দেওয়া হয়? কোনো যোগ্যতা নির্ধারিত না থাকায় রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটি এক আকর্ষণীয় পদ। রাজউক একটা জায়গায় সফল, তারা মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান, সেটার কারণেই তারা রক্ষক থেকে ভক্ষক। তারা এতো দিনেও জনবান্ধব হতে পারেনি। রাজউক আর দুর্নীতি একাকার, এ ধারণা এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে’, তিনি যোগ করেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ১৪ দফা সুপারিশ করেছি। রাজউকের দায়িত্ব অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর জরুরি। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা দরকার। দরকার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা। রাজউককে প্রাতিষ্ঠানিক হতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করতে হবে তাদের। তাহলেই তা সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জবাবদিহিতার কথা শুনি, সেটা অঙ্গীকার। বাস্তবায়ন আর অঙ্গীকার দুটো ভিন্ন জিনিস। ’
রাজউকের কোন কর্মকর্তারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এসব বিষয়ে তথ্য আছে কী না জানতে চাইলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ব্যক্তির দুর্নীতি প্রকাশ করা টিআইবির দায়িত্ব নয়, এটা রাষ্ট্র তথা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব। রাজউকের দুর্নীতি রোধে দুদকের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। ’
আরও পড়ুন>>> ‘রাজউকের সেবা নিতে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ লাগে’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
টিএম/এইচজে