ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পাহারার নামে সন্ত্রাসীরা ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
‘পাহারার নামে সন্ত্রাসীরা ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে’ কথা বলছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সিটি করপোরেশন ভোটের দিন কেন্দ্রে পাহারার নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। একটা বিষয় খুব উদ্বেগজনক সেটা হচ্ছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বহিরাগতদের জড়ো করা এবং অস্ত্রধারীরাও এর মধ্যে আছেন।

নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে দেখতে হবে। কারণ এমন অভিযোগ আছে, খবর আছে- পাহারার নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। সেই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। ’

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

বহিরাগতদের উপস্থিতি কোনো দলের বেশি? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বহিরাগতদের উপস্থিতি বলতে আমি বুঝি, আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে, বিএনপি সারা বাংলাদেশ থেকে বহিরাগতদের এনে ঢাকায় জড়ো করছে। এদের মধ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দাগী সন্ত্রাসীরাও রয়েছে। এটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেই কারণে আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য এবং বিষয়টি নজরদারিতে আনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি। ’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে আদেশ দেবে, নিয়ন্ত্রণ করবে, তারা সেভাবে চলবে। ’

‘ভঙ্গুর দল (বিএনপি) এ কথা এভাবে বলা ঠিক নয়, বিএনপি-আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তির একটা প্ল্যাটফর্ম। কাজেই এই শক্তিকে একেবারে দুর্বল বা ভঙ্গুর বলা আমি মনে করি সমীচীন নয়। তাদেরও সমর্থন আছে। দলের অবস্থা খারাপ থাকলে সন্ত্রাসী থাকবে না এমন তো নয়। তাদের সমর্থক সারা বাংলাদেশে আছে, এটা হলো বাস্তবতা। ’

নির্বাচন কমিশনের কাছে কী অনুরোধ থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন অশুভ কোনো তৎপরতা বন্ধ করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন নজরদারিতে রাখবে। বহিরাগতদের নজরদারিতে রাখা, অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত অপরাধীদের ব্যাপারে কমিশন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে কাজে লাগাবে- এটাই অনুরোধ। যাতে এরা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পথে বাধা না হয়। ’

গত জাতীয় নির্বাচন থেকে এই সিটি নির্বাচন ভালো হবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা একটা উৎসবমুখর ও ভালো নির্বাচন আশা করি। উৎসবমুখর বলতে মানুষ ভোট দিতে চায়, তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ আছে। কাজেই জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে এটাই আমাদের চাওয়া। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। ’

‘একই সঙ্গে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর এখানে একটা ভূমিকা থাকা দরকার।  আমরা সরকারি দল হিসেবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত,’ যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।