ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
ঈশ্বরদীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ছবি: প্রতীকী

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় মুলাডুলি ইউনিয়নে নিজ ঘরের চালের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাবিনা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ঢুলটি বেদুনদিয়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে ভোর ৬টার দিকে বাড়ির লোকজন তার মৃত্যুর বিষয়টি টের পায়।

 ঘটনার পর থেকে মৃত গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ পলাতক রয়েছে। সিয়াম হোসেন নামে তার ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

নিহত গৃহবধূ ঈশ্বরদী শহরের মশুড়িয়াপাড়া মহল্লার জার্জিস হোসেনের (৬০) মেয়ে।

পাবনার ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোর ৬টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের ঢুলটি রাস্তার পাশে বেদুনদিয়া নিজ ঘরের চালের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।

সাবিনার মৃত্যুতে শোকার্ত স্বজনদের ভিড়।

নিহত গৃহবধূর বাবা জার্জিস হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ১০ বছর আগে মুলাডুলির জামিরুল ইসলাম কালুর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাবিনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করাতো। মেয়ের সুখের জন্য তাকে মুলাডুলি ইউনিয়নের বেদুনদিয়ায় জমি কিনে বাড়ি করে দেন। একটি সিএনজিচালিত নসিমন কিনেছিলেন, সেটাও বিক্রি করে দিয়েছেন। তারপরও অত্যাচার সহ্য করে মেয়ে সাবিনা সংসার করছিলেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, নিজ ঘরের চালের সঙ্গে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ সাবিনাকে পাওয়া গেছে। মৃত সাবিনার পরনে ছিল লাল রঙের সোয়েটার ও লাল পেটিকোট। শাড়িটি মাটিতে পড়ে ছিল। মনাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি এখনো। অভিযোগ পেলে মামলা নথিভুক্ত হবে বলে জানান ওসি।      

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।