ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পর্দা উঠলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
পর্দা উঠলো অমর একুশে গ্রন্থমেলার

ঢাকা: দেশে লেখক-প্রকাশক-পাঠকদের সবচেয়ে বড় আয়োজন অমর একুশের গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০' উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। আর ছুটির দিনে মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ গ্রন্থমেলা খোলা থাকবে।

আরও পড়ুন>>>বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে ২৫টি বই প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। নতুন এসব বই নিয়েও আলোচনা করা হবে।

এছাড়াও প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের বই মেলা।

এবার সমগ্র মেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নানন্দিকভাবে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা প্রাঙ্গণ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের মেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।

এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। ১৫২টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ ছাড়াও ৬টি উন্মুক্ত স্টল রাখা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।  সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।