এমন ঘটনা ঘটেছে জেলার মোংলা উপজেলার চৌরিডাঙ্গা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২২ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তারা প্রবেশপত্র হাতে পায়নি।
এদিকে প্রবেশপত্র না পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থীরা বলে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। মাদ্রাসার স্যাররা যখন যে টাকা ও যে তথ্য চেয়েছে তাই দিয়েছি। যা করতে বলেছে তাই করেছি। তারপরও আমাদের প্রবেশপত্র আসেনি। যেকোন মূল্যে আমরা পরীক্ষা দিতে চাই।
মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের বাবা শওকাত শেখ বলেন, এই মাদ্রাসা থেকে এবার ২২ জন শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আসেনি। আমার মেয়ে যদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করতে পারে তাহলে আমি আদলতের আশ্রয় নেব।
পরীক্ষার্থী মুজাহিদ হাওলাদার বলে, মাদ্রাসার সুপার ইচ্ছাকৃত রেজিস্ট্রেশনে আমার বাবার নাম ভুল লিখে বোর্ডে পাঠান। পরে ভুল সংশোধনের জন্য ৩ হাজার ৫শ’ টাকা নেন সুপার। এরপরেও আমার প্রবেশপত্র আসেনি। পরীক্ষা দিতে পারব কিনা জানিনা।
আরেক পরীক্ষার্থী আয়শা আক্তার বলে, ২ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে ফরম ফিলআপ করেছি। কিন্তু আমাদের প্রবেশপত্র আসেনি।
মাদ্রাসার সহকারী সুপার আব্দুল হালিম বলেন, পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি। কারণ বোর্ড থেকে প্রবেশপত্র আসেনি।
মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যেকোন মূল্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সুপারকে বলেছি। এ বিষয়ে আমরা মাদ্রাসায় জরুরি সভাও করেছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশেষ বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএ