এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই দুই শিক্ষকসহ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান ও আইসিটি শিক্ষক মো. সোহেল রানার কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কে এম ওবায়দুল বারী দিপু খানও এ চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন এমন অভিযোগ করে তারও শাস্তি দাবি করা হয়।
শিক্ষার্থী ও অভিবাককের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউসার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী মোল্যা, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হাসিবুর রহমান জ্যামী প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বিক্ষোভকারীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিষয়েও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া রেজিস্ট্রেশনের টাকা নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে জমা না দেওয়ায় বোর্ড থেকে ওই বিদ্যালয়ের ৪৪ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ইস্যু হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসে বিদ্যালয়সহ উপজেলা প্রশাসন। পরে বোর্ডে যোগাযোগ করে ৩৬ জন প্রবেশপত্র পেলেও বাকি আট জন পরীক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএ