সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের কথা রয়েছে তাদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, ঠিক কতজন আত্মসমর্পণ করছেন তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যেখানে থাকবেন পাঁচ শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি। অতিথিসহ অন্যদের যথাসময়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হওয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিংও করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইমস) মো. জাকির হোসেন খান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণের জন্য সেফ হোমে রাখা মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টেকনাফের নাজির পাড়ার কালা, মৌলভী পাড়ার ফজল আহমদরে ছেলে রিদোয়ান, আব্দুর রাজ্জাক, মৃত আমির হোসেনের ছেলে আব্দুল আমিন ও হুন্ডি কারবারি ইসমাঈলও রয়েছেন।
গতবছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবা কারবারি টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর হাতে ইয়াবা এবং অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এসময় তারা প্রায় সাড়ে তিন লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেন।
একই দিন আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারিদের বিরুদ্ধে দু’টি আলাদা মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়। গত ২০ জানুয়ারি সেই আলোচিত দু’টি মামলার ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ১০২ মাদক কারবারির মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এসবি/এএ