তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে, চীনফেরত পাইলটরা তাদের দেশে ঢুকতে পারবে না। ফলে চীন থেকে আসতে চাওয়া ১৭১ জনের একটি টিম দেশে আনা যাচ্ছে না।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ আরেকটি সভা হয়। যা শেষ করে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবিনেটে করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কেবিনেট বৈঠকের পর ২০ থেকে ২৫ জন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেভাবেই হোক এই ভাইরাস আমাদের দেশে ঢোকা রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যথা সম্ভব চায়না থেকে উহান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ আমরা ঝুঁকি নিতে চাইছি না।
তিনি বলেন, চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাদের আনতে সমস্যা হচ্ছে। কেননা, এর আগে ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে যারা আসতে চাইছেন, তাদের চীনের কোনো এয়ারলাইন্সের ভাড়া করা প্লেনে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যারাই বাংলাদেশে আসবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে অনন্ত ১৪ দিন।
এসময় সচিবের কাছে চীনে প্লেন যাতায়াত বন্ধ থাকবে কি-না, জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, এখন প্রতিদিন চীনে চারটি ফ্লাইট যাচ্ছে। প্রতি ফ্লাইটে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এয়ারলাইন্সগুলো নিজেরাই ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
জিসিজি/টিএ