সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হেমনগর শশীমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শকের দায়িত্ব শেষে বের হলে হেমনগর ফাঁড়ির পুলিশ তাকে আটক করে।
জহুরুল ইসলাম সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বিদ্যুৎ জানায়, শনিবার ক্লাশে এক ছাত্রীর গায়ে বইয়ের স্পর্শ লাগার অভিযোগে শিক্ষক জাবের তাকে বেত্রাঘাত করেন। এক পর্যায়ে বেতের আঘাত মুখে লাগলে নিচের পাটির দু’টি দাঁত ভেঙে যায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিম রেজা জানান, বিদ্যুৎ একজন দিনমজুরের ছেলে। ওই দিন আহত বিদ্যুৎকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন রোববার তাকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে বিদ্যুতের বাবা জামাল উদ্দীন গোপালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ জহুরুল ইসলামকে আটক করে। পরে তাকে গোপালপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিদ্যুতের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তার ছেলে ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট (অঙ্ক) পড়তো। এক মাসের বকেয়া পাঁচশ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন ওই শিক্ষক। ওই দিন এক বাহানায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ছেলেকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করা হয়। এতে তার সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। তিনি এর প্রতিকার দাবি করেন।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আহত ছাত্রের বাবার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ বিশ্বাস জানান, শিক্ষার্থীদের মানসিক বা শারীরিকভাবে শাস্তি দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। ঘটনার সত্যতা মিললে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
আরএ