সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের খসড়ায় ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘প্রটোকল অন টান্স-বাউন্ডারি এলিফ্যান্ট কনজারভেশন বিটুইন রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া’ এর খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কারণ ভারত এবং মিয়ানমার থেকে সিজনাল অনেক হাতি আমাদের এখানে চলে আসে। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে বিশেষ করে শেরপুর, মেঘালয় আন্তঃদেশীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৩টি হাতি মারা গেছে এবং দু’টি আহত হয়। হাতির আক্রমণে ৩৬ জন মানুষ মারা গেছে, ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ১১৬টি পরিবার ও ২৩২টি বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আনোয়ারুল বলেন, এর ফলে আন্তঃদেশীয় হাতি যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্ভব হবে। উভয় দেশ নিজ নিজ বন্যপ্রাণী বিষয়ক আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারবে। হাতি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় গৃহীত কার্যক্রম ও উদ্যোগ সম্পর্কিত তথ্য উভয় দেশের মধ্যে আদান-প্রদান করা যাবে। হাতি সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও বন্যপ্রাণী আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে।
হাতি সংরক্ষণে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর আলোকে ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর থার্ড ডায়লগ অন ট্রান্স-বাউন্ডারি এলিফ্যান্ট কনজারভেশন সভা ঢাকাতে হয়। সভায় দুই দেশের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর পর্যায়ের প্রটোকল অন ট্রান্স-বাউন্ডারি এলিফ্যান্ট কনজারভেশন বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এই খসড়া প্রোটোকলের বিষয় সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি/