সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনোয়ার হোসেন এ রায় দেন।
বালুমহাল ও ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারায় এ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
সোমবার দুপুরে দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠ দখল মুক্ত করতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুবাইয়া ইয়াসমীন, গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের চর বয়রা-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও সিবি ঘোনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে ঘোনাপাড়া গ্রামের রেজাউল হক খোন্দকারের ছেলে মামুন খোন্দকার গত ৩০ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে অবৈধ এস্কেবেটর দিয়ে পুকুর খনন করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জায়গা পরিমাপ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে অবৈধ এস্কেবেটর দিয়ে পুকুর খনন করার সত্যতা পেয়ে মামুনকে এ দণ্ড দেন।
জানা যায়, ১৯৪২ সালে সিবি ঘোনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৯৫৬ সালে ঘোনাপাড়া গ্রামের চর বয়রা-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় রাম চন্দ্র গাইন ও খোন্দকার পরিবারের পক্ষ থেকে দু’টি স্কুলে ৪ একর ৫ শতাংশ জায়গা দান করেন। তারপর থেকে স্কুল এ জায়গা ভোগ দখল করে আসছে। এর আগে একবার মামুন খোন্দকার স্কুল মাঠের কিছু অংশ দখল করে বাঁধ দিয়ে বালু ফেলে। পরে স্থানীয়রা বাধা দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়। গত ৩০ জানুয়ারি রাতের অন্ধকারে মামুন ফের স্কুল মাঠে ৪টি এস্কেবেটর নামিয়ে পুকুর খনন ও গাছ কেটে ফেলে। এতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
আরএ