ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘এই অভাগা দেশে এককালে বঙ্গবন্ধুর নামই নিতে পারিনি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
‘এই অভাগা দেশে এককালে বঙ্গবন্ধুর নামই নিতে পারিনি’

ঢাকা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা এইচটি ইমাম বলেছেন, আমরা এতো অভাগা যে, ৭৫-এর পর বঙ্গবন্ধুর নামই মুখে নিতে পারিনি। কোথাও ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে পারিনি। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘কৃষি ও কৃষকের বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন এইচটি ইমাম। বইটি লিখেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।

এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যায় উল্লেখ করে এইচটি ইমাম বলেন, বর্তমানে পরিবেশ অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি। বঙ্গবন্ধু শোষিতের জন্য গণতন্ত্র এনেছিলেন। কৃষকবান্ধব ছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, একশ’ বিঘার ওপরে  কারো জমি থাকবে না। ২৫ বিঘা পযর্ন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন তিনি।

দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে রূপ দেখছি সবই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া। কৃষি, শিক্ষা, সমুদ্র সব কিছু নিয়েই তিনি চিন্তা করতেন। বর্তমানে দেশে কৃষি গবেষণায় সফলতা এসেছে। এর সূত্রপাত বঙ্গবন্ধুর হাতেই। স্বাধীনতার পর কৃষক সমাজের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রেখেছিলেন তিনি। কুষি কর্মকর্তাদের মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি কুষি বিজ্ঞানীদের জন্যও বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তার ফল হিসেবে আজ জমি কমলেও খাদ্যের অভাব হচ্ছে না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয় এখন তা রফতানিও  হচ্ছে।  

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ গড়ার কাজে নিযুক্ত থাকতে হয়েছে উল্লেখ করে এইচটি ইমাম বলেন, নতুন দেশে তাকে বিদ্রোহও দমন করতে হয়েছে। জাসদ নামক একটি জিনিসের উত্থান হয়েছিল সে সময়ে। তাদের গণবাহিনীকেও দমন করতে হয়েছিল।  

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু বড় হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। আমাদের সবাইকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছেন তিনি। মা-মাটি-মানুষের কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু।

বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে সব সময় কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। আমি গবেষণা করে দেখেছি এখনও বঙ্গবন্ধুকে সম্পূর্ণভাবে চেনা হয়নি।  

‘এরকমও জানা যায়, একবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না হচ্ছিল। সে সময় ওই বাড়ির পাশ দিয়ে লুঙ্গি পরে একজন হেঁটে যাচ্ছিলেন, বঙ্গবন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে সেই মুরগির মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করেন। তিনি ছিলেন গরিব দরদী। তিনি কৃষকের হাসি দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু আজ কেন কৃষক মাঠে হাসছে না তা আমাদের ভাবতে হবে। ’

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান ও কলামিস্ট মামুন রশীদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০ 
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।