ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সচল হয়নি থার্মাল স্ক্যানার

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে সচল হয়নি থার্মাল স্ক্যানার

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এখনো সচল হয়নি থার্মাল স্ক্যানার। এতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে নামে মাত্র। ফলে ভয়ানক এ ভাইরাসটি যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে সংক্রমণের যথেষ্ট ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি)  ইমিগ্রেশন ভবন ঘুরে দেখা যায়, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী তিনজন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন একজন। তাও তিনি অফিসে বসে আছেন।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা কেন্দ্রের চেয়ার-টেবিল খালি পড়ে আছে।

জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়ে ৫ বছর আগে স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি প্রায় দুই মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে। এতে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে  ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১২ শতাংশ রয়েছেন বিদেশি। তাই এ সীমান্তে ভাইরাসটি সংক্রমণের বেশ ঝুঁকি রয়েছে।

পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বলেন, নাম মাত্র ইমিগ্রেশনে মাঝে মধ্যে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যাও কম। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি। এতে ভয়াবহ ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে।

ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ইমিগ্রেশনে থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি মেরামতের জন্য অনেক আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঠিক হয়নি। মেশিনটি সচল থাকলে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোনো ঝুঁকি থাকতো না। স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই অফিসে নাই কেন জানতে চাইলে বলেন, তারা কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।