সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আহতরা হলেন- নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শওকত (১৯), বশির আহমেদ (৩২), আবুল হোসেন (২২), হোসেন (২৩), হাসান, আব্দুল গনি (২৪), জুবায়ের (১৮), জিয়াদুল (১২), ফারুক (৮)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
রোহিঙ্গারা জানায়, রাতে ওই ক্যাম্পের ই-ব্লকের সামশুল আলমের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী নূর নবীর (২৪) কাছ থেকে চাঁদা দাবি করতে আসে রোহিঙ্গা ডাকাত জকির ও আমান উল্লাহসহ সশস্ত্র কয়েকজন। এসময় নুর নবী চাঁদা দিতে না চাইলে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং আশেপাশে এলোপাতাড়ি আরও ৪০-৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ১৩ জন রোহিঙ্গা আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য ক্লিনিকে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে নয় জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পের পশ্চিমে পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বিষয়টি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, গোলাগুলির ঘটনা সত্য। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টেকনাফস্থ র্যাব-১৫, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসবি/এনটি