মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৮ এর সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার মৃত কাঞ্চন আলী ফকিরের ছেলে মো. রিয়াজউদ্দিন ফকির (৪৮), তার স্ত্রী মোছা. তাসলিমা আক্তার লাকী (৪২) ও ছেলে মো. তৗহিদুর রহমান (১৮)।
র্যাব জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি জেলার বাকেরগঞ্জ থানার আউলিয়াপুরে চিকিৎসার নামে কালাম মৃধা (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর থেকেই মূল আসামিসহ অন্যরা পলাতক ছিল।
র্যাব-৮ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর তারা ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব-৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল জানতে পারে যে, মামলার প্রধান আসামি রিয়াজউদ্দিন ফকির তার স্ত্রী ও ছেলেসহ বরিশালের রূপাতলী এলাকায় অবস্থান করছে। পরে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রূপাতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাদের বাকেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে মামলা ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে কালাম মৃধা অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন। জিনে ধরেছে ধারণা করে তা তাড়াতে তাকে গত ৩১ জানুয়ারি সকালে রিয়াজ ফকিরের বাড়িতে নিয়ে যান তার পারভীন বেগম (৩০)। রিয়াজ ফকির তার চাচাতো ভাই অসিম ফকিরসহ চার/পাঁচজন মিলে ওইদিন সকালে ও বিকেলে কালাম মৃধাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও বাড়ির পুকুরের ঠাণ্ডা পানিতে ১০১ বার চুবান। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মাজার সংলগ্ন একটি রুমে রাখা হয়। সন্ধ্যায় তিনি মারা গেলে হত্যাকারীরা তার মরদেহ বাড়ির পাশে বাগানে ফেলে রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এমএস/আরবি/