ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রতিরোধ করবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
‘প্রয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রতিরোধ করবে’ বরিশাল বিভাগ ও জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান

বরিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ‘ইসলাম ধর্মকে জাতিসত্তার বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কিন্তু শুধু কলম পেশায় ন্যস্ত থাকবে না; তারাও কিন্তু রুখে দাঁড়াবে, প্রতিবাদ মুখর হবে, প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আপামর জনসাধারণের সঙ্গে যেভাবে এদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছে তাতে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিরাট একটি ঐতিহ্য ও চেতনার ধারক ও বাহক।

‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো মোরা অম্লান’— এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা ও ভাস্কর্য নির্মাণে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে বরিশাল বিভাগ ও জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘‘আমি মানুষ, আমি মুসলমান, আমি বাঙালি। আর এটাই আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। ’’ জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন, কীভাবে জাতিসত্তার ভেতর ধর্মকে ধারণ করতে হয়। আমরা হৃদয়ে ধারণ করে ইতোমধ্যে তা বিশ্বকে দেখিয়েছি। আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের সংস্কৃতি, রয়েছে জারি-সারি, ভাটিয়ালি, কবিতা, ভাস্কর্য, পল্লীগীতি, লালনগীতি, পালা গান, যাত্রা গান— এইতো আমাদের পরিচয়। ’

এসময় তিনি পাকিস্তানের দোসরদের উদ্দেশে বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্ত ও নির্যাতিত মা-বোনদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বাঙালি জাতি একটি জায়গায় আপসহীন, আর তা হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আমাদের ইসলাম ধর্মকে জাতিসত্তার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশের মৌলিক জাতিসত্তার বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবেন না। তাহলে কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুধু কলম পেশায় ন্যস্ত থাকবে না; তারাও কিন্তু রুখে দাঁড়াবে, প্রতিবাদ মুখর হবে, প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকার, জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেনসহ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি সব দপ্তর প্রধান, কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

অনুষ্ঠানের আগে বরিশাল বিভাগ ও জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে ‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো মোরা অম্লান’ স্লোগানকে সামনে রেখে একটি প্রতিবাদ র‌্যালি বরিশাল সার্কিট হাউজের সামনে থেকে শুরু হয়ে অশ্বিনী কুমার হলে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
এমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।