ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে কাজ করছে সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে কাজ করছে সরকার’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন/ ফাইল ফটো

ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘মানবদেহ ও পরিবেশের ওপর সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে সরকার এর ব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) আয়োজিত ‘হাই লেভেল পলিসি ডায়লগ অন স্টপিং টক্সিক প্লাস্টিক ওয়েস্টেজ অ্যান্ড ইটস ট্রান্সবাউন্ডারি মুভমেন্ট’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক পণ্য মাটি ও পানিতে বছরের পর বছর থেকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার খাদ্যচক্রের সঙ্গে মিশে গুরুতরভাবে মানবস্বাস্থ্যের ক্ষতিসাধন করে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান সরকার ২০১০ সালে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য জুট প্যাকেজিং আইন পাস করে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধ করতে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হাইকোর্ট এ বছরের জানুয়ারি মাসে আগামী এক বছরের মধ্যে এর ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে খাবার ও ব্যক্তিগত পণ্যের মোড়ক, পানির বোতল, শ্যাম্পুর বোতল ও মিনিপ্যাক, কন্ডিশনারের প্যাকেট, টুথপেস্ট টিউব, প্লাস্টিক টুথব্রাশ, টি-ব্যাগ এবং বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের চামচ, ট্রে, প্লেট, কাপ, গ্লাসসহ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ’

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্লাস্টিক বর্জ্যের ট্রান্সবাউন্ডারি মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণে একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। তাছাড়া, আমদানি নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশে যেকোনো প্রকার বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনেও সরকার কাজ করছে। ’

সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো, জাইকার প্রতিনিধি কোজি মিতোমোরি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ কে এম রফিক আহমদ, এসডোর সভাপতি ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন। সেশন পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করেন এসডোর সহ-সভাপতি ড. আইনুন নিশাত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।