ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
শেরপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রাশেদ

শেরপুর: শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে রাশেদ আলী (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাশেদ আলী শ্রীবরদী উপজেলার দিয়ারচর গ্রামের মৃত বাইন উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, প্রায় ১৭/১৮ বছর আগে শ্রীবরদী উপজেলার কলাকান্দা গ্রামের ফজল হকের মেয়ে গোলেছা বেগমের বিয়ে হয় দিয়ারচর গ্রামের রিকশাচালক রাশেদ আলীর সঙ্গে। দাম্পত্য জীবনে ৩ ছেলে জন্ম নেয় তাদের সংসারে। ঘটনার ৩/৪ মাস আগে থেকে রাশেদ আলী কাজ-কর্ম না করায় অভাবের কারণে সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে গৃহবধূ গোলেছা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাশেদ আলী।  

এ ঘটনায় ওইদিনই শ্রীবরদী থানায় রাশেদ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন গোলেছার বাবা ফজল হক। পরদিনই অভিযান চালিয়ে রাশেদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় রাশেদ। মামলার তদন্ত শেষে রাশেদকে একমাত্র আসামি করে একই বছরের ২৪ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এসআই আক্তারুজ্জামান। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বাদী, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার রাশেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মেরাজ উদ্দিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।