ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার সৈকতে বঙ্গবন্ধুর ‘বালুর ভার্স্কয’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
কক্সবাজার সৈকতে বঙ্গবন্ধুর ‘বালুর ভার্স্কয’ কক্সবাজার সৈকতে বঙ্গবন্ধুর ‘বালু ভার্স্কয’

কক্সবাজার: ‘কক্সবাজার সৈকতে তর্জনী উঁচিয়ে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ওপরে লেখা আছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।

এ চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে বালু দিয়ে তৈরি করা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে।

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় দু’টি ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার। এ প্রথম সৈকতের বালিয়াড়িতে বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য নির্মিত হলো।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের দিন মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ দু’টি ভাস্কর্য দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১০ জন শিক্ষার্থী। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণের ধৃষ্টতা আর যাতে কেউ না দেখায়, তার প্রতিবাদেই এ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।

ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারে সমন্বয়ক ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, ‘ধর্মান্ধ এবং উগ্রবাদীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তারা যেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া কিংবা অপসারণের মতো ধৃষ্টতা না দেখায়। ’

তিনি বলেন, ‘প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর বালুর তৈরি ভাস্কর্যটি নির্মাণ করছে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার। ’

জেলার প্রবীণ সাংবাদিক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু বাংলানিউজকে জানান, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভাল উদ্যোগ। এবং অভিনব প্রতিবাদ। এভাবেই জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ভুলতে বসেছে। এ ধরনের উদ্যোগের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে জাতিকে জানাতে হবে। ’

এদিকে ভাস্কর্য নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বিজয় দিবসকে সামনে রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার প্রতিবাদে আমাদের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সত্তায় জাতির পিতা থাকবে, থাকবে বাংলাদেশ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এসবি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।