ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আবাসিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণের পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
আবাসিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণের পরামর্শ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

ঢাকা: রাজধানী শহর ঢাকায় আবাসিক ভবনের উচ্চতা কতটুকু হবে, তা অঞ্চলভেদে নির্ধারণ করতে নগর পরিকল্পাবিদরা পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা শহরকে বসবাস উপযোগী করতে সীমাবদ্ধতাগুলো কীভাবে দূর করা যায় এবং আগামীতে নতুন করে যাতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে সভা করেছি। কোথায় রাস্তা হবে, কতটুকু রাস্তা হবে, আমাদের আবাসন কতটুকু লাগবে, শপিংমল কত হবে, স্কুল কত হবে—  এগুলো যাতে যৌক্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়, সে বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদদের মতামতটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাজুল ইসলাম বলেন, নগর পরিকল্পনাবিদরা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বলেছেন, এটাকে কোনোভাবেই আমরা ভার্টিক্যাল এক্সপানশন এবং হরাইজেন্টাল এক্সপানশন অর্থাৎ বহুতল ভবন বা হাইরাউজ বিল্ডিং বা লোরাইজ বিল্ডিং—  এটা ডিপেন্ড করবে ওই এলাকার যে সমস্ত সাপোর্টগুলো থাকা দরকার সেগুলো আছে কি না। যদি না থাকে এবং জোনভিত্তিক কোথায় কত হাইটের বিল্ডিং হবে এটা নির্ধারণ করার জন্য। আমার কাছে এটা যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে। সবার সাথে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।

তিনি বলেন, পরিকল্পনাবিদরা তাদের অবস্থান থেকে যৌক্তিকভাবে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। একটি আবাসিক এলাকায় আমরা যদি হিসেব করি যে, আমাদের ছয় বা ১২ হাজার লোক সেখানে বসবাস করবে, সেখানে একটি স্কুল লাগবে, সে স্কুলটি যদি সেখানে অ্যাভেইলঅ্যাবল না হয় তাহলে তাকে আবার দুই-তিন বা পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিতে হবে, এজন্য পায়ে হাঁটার পরিবর্তে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে, ট্রাফিক জ্যাম বাড়বে। আবাসিক এলাকায় যদি ওষুধের দোকান না থাকে, ওষুধ কিনতে যদি দূরে যেতে হয় তাহলে গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনার ভেতরে কিছু কিছু সাম অ্যান্ড সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি থাকা দরকার। এসব বিষয় তারা তুলে ধরেছেন। আমাদের রাস্তা কত আছে এবং অন্যান্য সাম অ্যান্ড সাপোর্ট কত আছে সেটার ভিত্তিতে এখানে কত লোক বসবাস করবে এটা (ভবন) কি ভার্টিক্যাল হবে নাকি হরাইজন্টাল হবে সেই সিদ্ধান্তটা ওইটার ভিত্তিতে হতে হবে। এসব নিয়ে তারা আলোচনা করে মতামত দিয়েছেন, সেসব পর্যালোচনা করে দেখব ড্যাপের আনুষ্ঠানিক মিটিংয়ে কোনটা কোনটা অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫,২০২০
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।