ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘১০ বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
‘১০ বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে’ বক্তব্য রাখছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: গত ১০ বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশে খেলাধুলা, শিল্প সাহিত্য চর্চা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন স্কুল লেভেলেও ধারাবাহিক খেলাধুলা কার্যক্রম শুরু করেছেন। নিয়মিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়, বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলো হচ্ছে। জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী একজন ক্রীড়ানুরাগী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে একজন খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তার পরিবার ক্রীড়ানুরাগী। সে হিসেবে আমরা ভাগ্যবান জাতি।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিরল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিরল মৌসুমী ক্রীড়া চক্রের উদ্যোগে দু’মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

খালিদ মাহমুদ বলেন, বিরল শহরের উপকণ্ঠে আউটডোর-ইনডোর ব্যবস্থাসহ একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। যেখানে নারী খেলোয়াড়রা ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বাস্কেটবলসহ ইনডোর খেলাগুলো করতে পারবে।

বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং বিরল মৌসুমী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিরল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, বিরল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মো. সোয়াইব, বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম হাবিব, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিরল পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, মৌসুমী ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় ছিল না। ফুটবল খেলে জীবিকা নির্বাহ করা, পারিবারিক জীবনটাকে সুন্দর করা যায়- এ চিন্তা আগে ফুটবলাররা করেনি। কারণ তখন পৃষ্ঠপোষকতা ছিল না। এখন বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ ফুটবলসহ অন্য খেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে। অনেক পেশাদার ফুটবলার তৈরি হচ্ছে।

পরে খালিদ মাহমুদ দিনাজপুর জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের চলমান ও বাস্তবায়িত প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক করেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুর জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মনোরঞ্জনশীল গোপাল, অ্যাডভোকেট জাকিয়া তাবাসসুমসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।