ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয়ের শুভ লগ্নের অপেক্ষায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ (ভিডিও)

সাগর ফরাজী, সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
বিজয়ের শুভ লগ্নের অপেক্ষায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ (ভিডিও) জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): দীর্ঘ ৯ মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশর কাছে আত্মসমর্পণের করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই দিনটি বাঙালির জাতির জন্য সবচেয়ে গর্বের ও খুশির দিন।

সেদিনের সেই বিজয়ের কারণে সারা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নামটি উঠে আসে। আর একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয়। এই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।

৪৮ বছরের এ বিজয় দিবস পালন শেষে এবার ৪৯ বছরের বিজয় দিবস পালনে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে বাঙালি জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মান জানানোর স্থান সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। আরএ এই বিজয়ের শুভ লগ্নের অপেক্ষায় রয়েছে স্মৃতিসৌধ।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে দেখা গেছে, দেশের জন্য শহীদ হওয়া এই সূর্য তরুণদের বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা জানাবে এ জন্য গত ১৫ দিন যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আচরে সাজিয়ে, গাছে গাছে ও স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা লাগিয়েছে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

আরও দেখা গেছে, নতুন ফুলের গাছ, পানির ফুয়ারা, মশা নিধনের জন্য ফগার যন্ত্র দিয়ে ওষুধ দেওয়া, শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের জন্য জীবাণুনাশক স্প্রে করার জন্য ক্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীরা ট্রেনিং করছেন স্মৃতিসৌধের মূল বেদীর সামনে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।

গণপূর্ত বিভাগের স্মৃতিসৌধ শাখার কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এবার বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দু’জন সামরিক সচিব। এরপর মন্ত্রী পরিপষদ সদস্য, দেশি-বিদেশি মেহমান ও কুটনৈতিকসহ ভিআইপি ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ২০০ জন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢুকতে পারবে।

গণপূর্ত ঢাকা জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বেশকিছু দিন ধরেই মহান বিজয় দিবস পালনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পুরো এলাকায় রং তুলির আচড় ও বাহারি ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীর সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) শেষ বারের মতো নিরাপত্তার বিষয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।

পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিজয় দিবব উপলক্ষ্যে গত দুই-তিন সপ্তাহ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকায় এরইমধ্য গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আর এ তৎপরতা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বজায় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, স্মৃতিসৌধে আগত সব দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, জীবাণূনাশক স্প্রে চেম্বার স্থাপন করার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদনে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনী সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।